হেদায়েতের ৩টি স্তর

হেদায়েত শব্দের অর্থ "কোন ব্যাক্তিকে সঠিক গন্তব্য স্থলে অনুগ্রহের সাথে পথ প্রদর্শন করা।" তথাপি আমরা কম বেশি সকলেই উক্ত শব্দটির সাথে পরিচিত তবে এর ভাবার্থ কিনবা এর বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আমরা অবহিত নই।



Photo by Masjid Pogung Dalangan on Unsplash

হেদায়েতের ৩ টি স্তর রয়েছে। প্রত্যেকটি স্তর ক্ষুদ্র বিশ্লেষণ দ্বারা বোঝানোর চেষ্টা করছি।

১। প্রথম স্তরে আল্লাহ তা'আলা সারা দুনিয়ার সকল জীবজন্তু এর উদ্দেশ্যে বুঝিয়েছেন তথা হেদায়েতের এই স্তরটি সাধারন ও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। সৃষ্টির সব কিছুই আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা এবং ইবাদতে নিমগ্ন। তথা হেদায়েতের এই আহ্বান সৃষ্টির সব কিছুর প্রতি।

২। দ্বিতীয় স্তর প্রথম স্তরের তুলনায় অনেকটাই সংকীর্ণ। এই স্তর শুধু মাত্র মানুষ ও জীন জাতির জন্য প্রযোজ্য। এই হেদায়েত নবী-রাসুল ও আসমানি কিতাবের মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষের নিকট পৌঁছেছে। এই হেদায়েত গ্রহন করে কেউ মুমিন হয়েছে কেউ বা প্রত্যাখ্যান করে কাফিরে পরিণত হয়েছে।

৩। তৃতীয় স্তরটি হল বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই হেদায়েত শুধু মাত্র মুমিন ও মুত্তাকিদের জন্য। এটি আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে কোন প্রকাশ মাধ্যম ছাড়াই মানুষকে প্রদান করা হয়। এরই নাম "তওফিক।"

বোঝার বিষয় হল প্রথম ও তৃতীয় স্তর সম্পূর্ণ ভাবে আল্লাহ তা'আলার সাথে সম্পর্কিত এবং এখানে নবী-রাসুলদের কোন ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে নবী-রাসুলগণ শুধু মাত্র দ্বিতীয় স্তর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ যার উদাহরন তাদের ধর্ম প্রচার এবং আল্লাহ তা'আলার বিধি নিষেধ সম্পর্কে নিজেদের কওম কে অবহিত করা।

তৃতীয় স্তরের অপর ভিত্তি করে আল্লাহ তা'আলার বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের শ্রেণিবিন্যাস নিম্নরূপ
১। নবী-রাসুল - সর্বাধিক সম্মান প্রাপ্ত।
২। সিদ্দিক - যাদের রুহানি কামালিয়াত ও পরিপূর্ণতা রয়েছে। সাধারন ভাষায় যাদের "আউলিয়া" বলা হয়।
৩। শহীদ - যারা দ্বীনের প্রয়োজনে স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
৪। সালেহিন - সর্বক্ষেত্রে শরীয়তের পুরোপুরি অনুসরন ও আমলকারী। সাধারন ভাষায় যাদের দ্বীনদার বলা হয়।

১১.০৮.২০
সুত্রঃ তফসির মা'আরেফুল কোরআন

Abdullah Al Jami

No comments

Theme images by rusm. Powered by Blogger.